Skip to content

Arabic Language

আমরা কেন আরবী শিখবো?

ভাষা আল্লাহ্‌ তা’আলার এক অফুরন্ত নিয়ামত। আল্লাহ্‌ তা’আলা তাঁর মাখলুককে ভাব আদান প্রদান করার জন্য ভাষা শিখিয়েছেন। তিনি বলেন, আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে হচ্ছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি, আর তোমাদের ভাষা ও তোমাদের বর্ণের বৈচিত্র। নিঃসন্দেহ এতে তো নিদর্শনাবলী রয়েছে জ্ঞানী লোকদের জন্য। (সুরা রূম, আয়াত ২২)

আমাদের ভাষাও তেমনি আল্লাহ্‌ তা’আলার দান। আমরা বাংলা ভাষাভাষী হওয়া সত্ত্বেও মুসলমান যারা এক আল্লাহ্‌ কে কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস ও স্বীকার করি। আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদের জন্য যে ওহী বানী পাঠিয়েছেন, তাহা পুরাটাই আরবী ভাষায়। আল্লাহ্‌ তা’লা বলেন, এমনি ভাবে আমি আপনার প্রতি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন এবং সতর্ক করেন সমাবেশের দিন সম্পর্কে, যাতে কোন সন্দেহ নেই। একদল জান্নাতে এবং একদল জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সুরা শুরা, আয়াত ৭) অতএব আমাদেরকে নিঃসন্দেহে জান্নাতে যেতে হলে আরবী শিখতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই, যদিও বর্তমানে বাংলা তরজমা, ভাবার্থ আমাদের হাতের নাগালে এসে গেছে, তথাপি বিশেষ করে সালাত, কোরআন পাঠ ও হাদিস পাঠে আরবী অবশ্যম্ভাবী। আর কেনইবা আমরা আরবী শিখবো না? যদি আমাদের আল্লাহ্‌ তে বিশ্বাস অটুট থাকে তবে আল্লাহ্‌ তা’লা স্বয়ং বলছেন, সুতরাং আমরা তো এটিকে তোমার মাতৃভাষায় সহজবোধ্য করে দিয়েছি যেন এর দ্বারা তুমি ধর্মপরায়ণদের সুসংবাদ দিতে পার আর এর দ্বারা সাবধান করে দিতে পার বিতর্কপ্রিয় সম্প্রদায়কে। (সুরা মরিয়ম, আয়াত ৯৭) এতে বুঝা যায়, আরবী ভাষা সহজ ও সরল।  এক হাদীসে এসেছে, আমি আরবী ভাষী, কুরআন আরবী ভাষায় এবং জান্নাতীদের ভাষা আরবী এ তিনটি কারণে তোমরা আরবদের মুহাব্বাত কর[i] আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব (কুরআন মাজীদ) এর একটি বর্ণ পাঠ করবে, তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকী, দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ণ; বরং আলিফ একটি বর্ণ, লাম একটি বর্ণ এবং মীম একটি বর্ণ। (অর্থাৎ, তিনটি বর্ণ দ্বারা গঠিতআলিফ-লাম-মীম, যার নেকীর সংখ্যা হবে ত্রিশ।) (তিরমিজী ২৯১০, হাসান)

সারমর্ম হোল, আমাদেরকে আরবী শিখতেই হবে, যার কোন বিকল্প নাই, এ চিন্তাকে ধারণ করতে হলে প্রথমেই আমাকে আপনাকে আরবী হরফ, শব্দ চয়ন, বর্ণমালা, উচ্চারন, বাক্য গঠন, সংযুক্তি সহ শব্দ শিখতে হবে, যার ফলে শুদ্ধ উচ্চারনে আমরা সালাত সহ কুরআনুল কারীম তিলাওয়াত করতে সক্ষম হব। ফল, নিশ্চিত জান্নাত।

[i] (হাদীসটি হাকিম “আল-মুসতাদরাক” গ্রন্থে (৪/৮৭) এবং “মারিফাতু উলুমিল হাদীস” গ্রন্থে (পৃঃ ১৬১-১৬২), উকায়লী “আয-যুয়াফা” গ্রন্থে (৩২৭), তাবারানী “মুজামুল কাবীর” (৩/১২২/১) ও “আল-আওসাত” গ্রন্থে, তাম্মাম “আল-ফাওয়াইদ” গ্রন্থে (১/২২) এবং তার সূত্রে যিয়া আল-মাকদেসী “সিফাতুল জান্নাহ” গ্রন্থে (৩/৭৯/১), বাইহাকী “শুয়াবুল ঈমান” গ্রন্থে, ওয়াহেদী তার “আত-তাফসীর” গ্রন্থে (১/৮১) এবং ইবনু আসাকির ও আবূ বাকর আল-আম্বারী “ইযাহুল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা” গ্রন্থে ‘আলী ইবনু আমর হানাফী সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াযীদ আল-আশয়ারী হতে, তিনি ইবনু যুরায়েজ হতে … বর্ণনা করেছেন।)

নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর যঈফ ও জাল হাদীস সঙ্কলন সিলসিলা আল যঈফাতে ( হাদীস নং-৬১) হাদীসটিকে জাল বলেছেন – অনুবাদক

Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Ut elit tellus, luctus nec ullamcorper mattis, pulvinar dapibus leo.